হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) কেস বৃদ্ধি হিসাবে উচ্চ সতর্কতায় যুক্তরাজ্য
ইউকে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) এর বিস্তার নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মুখোমুখি হচ্ছে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা এবং ভাল স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করার মতো সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে।
এইচএমপিভি, প্রায়শই একটি "রহস্য ভাইরাস" হিসাবে উল্লেখ করা হয়, এই মাসের শুরুতে উত্তর চীনে বড় প্রাদুর্ভাব শুরু করার পরে বিশ্বব্যাপী শিরোনাম করেছে। অভিভূত হাসপাতাল, বিশেষ করে শিশুদের ওয়ার্ডে, অল্পবয়সী রোগীদের জ্বর, কাশি এবং গলাব্যথায় ভুগছে - কোভিড -19 মহামারীর প্রথম দিনগুলির একটি ভয়াবহ অনুস্মারক।
এখন, ভাইরাসটি ব্রিটেনে পৌঁছেছে, ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করতে প্ররোচিত করেছে। ডেটা পরীক্ষিত নমুনার মধ্যে একটি 4.9% ইতিবাচকতার হার প্রকাশ করে, যার সর্বোচ্চ হার 80 এবং তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে 7.3% পরিলক্ষিত হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, উচ্চতর পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে 7,800 টিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী আমান্ডা প্রিচার্ড, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার উপর ক্রমবর্ধমান চাপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যা ইতিমধ্যেই মৌসুমী অসুস্থতার কারণে পাতলা হয়ে গেছে। এক্স (পূর্বে টুইটারে) একটি পোস্টে, তিনি বলেছেন:
"এই মুহুর্তে আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য এটি কতটা কঠিন তা কথায় বলা কঠিন। ফ্লু এবং অন্যান্য ভাইরাসগুলি আমাদের রোগীদের এবং এনএইচএস জুড়ে পরিষেবাগুলির উপর যে ক্ষতি করছে তা নিয়ে আমরা সত্যিই চিন্তিত।"
প্রিচার্ড হাসপাতালে ভর্তি এবং অ্যাম্বুলেন্স কলে একটি বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছেন, যা NHS-কে বিছানার ক্ষমতা বাড়ানো এবং আরও হোম কেয়ার পরিষেবা প্রদানের মতো ব্যবস্থা চালু করতে নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি জনগণকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা সহায়তা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন, যোগ করে, "যখন ভাইরাসগুলি আরও কঠিন হয় তার চেয়ে যখন চিকিত্সা করা সহজ হয় তখন আমরা আপনাকে শীঘ্রই দেখতে চাই।"
UKHSA জনসাধারণকে-বিশেষ করে বয়স্ক এবং ঝুঁকিপূর্ণ-সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করা এবং অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতে থাকা।
যেহেতু hMPV কেস বেড়েছে, কর্মকর্তারা চ্যালেঞ্জিং শীতের মাসগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার বোঝা কমাতে জনসাধারণের সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছেন৷